অভিবাসন প্রত্যাশীদের অন্যতম আকর্ষনীয় দেশের নাম হচ্ছে জার্মাানি, তাই অভিবাসন প্রত্যাশীরা জার্মানি কাজের ভিসা 2025 এর আবেদন করার নিয়ম কানুন জানতে আর্টিকেলটি পরতে পারেন।  এর পেছনের কারণ হচ্ছে ইউরোপের এই দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, অভিবাসীদের জন্য উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চাকুরি ও কর্মসংস্থার ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের স্বপ্ন থাকে জার্মানিতে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার। জার্মানি কাজের ভিসা 2025 এর জন্য নতুন একটি ওয়েব পোর্টাল খুলেছে। ওয়েব পোর্টালটি হচ্ছে https://digital.diplo.de/visa

জার্মানি ভিসা প্রসেসিং

এই দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের ১ম সারির চাহিদায় থাকে জার্মানি ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করা যায়। জার্মানি ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অভিবাসন প্রত্যাশীদের থাকতে হবে একটি বৈধ পাসপোর্ট। বৈধ পাসপোর্ট ছাড়া জার্মানির ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে না।  । জার্মানিতে যাওয়ার জন্য কয়েক ধরনের ভিসা আছে। এগুলোর মধ্যে হচ্ছে 

জার্মানি কাজের ভিসা (Work permit visa) 

আপনার যদি নির্দিষ্ট কোন কাজে দক্ষতা থাকে তবে জার্মানির উদ্যোক্তা বা চাকরিদাতা আপনাকে স্পন্সরের মাধ্যমে স্বপ্নের দেশটিতে নিয়ে যেতে পারে। আপনাকে আপনার কাজের দক্ষতার বিষয়ে জার্মানির কোন কোম্পানী/স্পন্সরকে কাজের দক্ষতার বর্ণনাসহ আবেদন করতে হবে। কাজের দক্ষতার সাথে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা আইএলটিএসে ভালো স্কোর থাকতে হবে। নির্দিষ্ট কাজের উপরে প্রশিক্ষণ সনদ থাকতে হবে।  জার্মানির ভিসা আবেদনের নতুন অনলাইন সাইট চালু হয়েছে তা হচ্ছে https://digital.diplo.de/visa ।  যখন কোম্পানী আপনার আবেদন বিবেচনা করবে তখন আপনি জার্মানি কাজের ভিসা (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা) এর মাধ্যমে জার্মানি যেতে পারবেন। এই ভিসার মাধ্যমে দেশটিতে থাকা ও কাজ করার অনুমতি পাবেন আপনি। এ ক্ষেত্রে উল্লেখিত কোম্পানির দেয়া অফার লেটারটা সঙ্গে থাকা জরুরি। জার্মানিতে প্রতিবছরই দক্ষ অভিবাসী কর্মীর প্রয়োজন হয়৷ তাই জার্মান সরকার জার্মানি কাজের ভিসা (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা) প্রতিবছর দিয়ে থাকে। বাংলাদেশী সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিক জার্মানি কাজের ভিসার (ওয়ার্ক পারমিট)  মাধ্যমে যেতে পারেন।

চাকরিপ্রার্থী ভিসা (জব সিকার ভিসা)

চাকরিপ্রার্থী ভিসা (জব সিকার ভিসা) এই বিশেষ ভিসার মেয়াদ ৬ (ছয়) মাস। এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি যদি চাকরি বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারেন তবে তাহলে জব সিকার ভিসাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় উন্নীত হয়ে যাবে। অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তিনি কর্মসংস্থান খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন তাহলে তাকে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। চাকরিপ্রার্থী ভিসার (জব সিকার ভিসা) মাধ্যমে কাজে দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি জার্মানিতে এসে চাকরি/কাজ খোঁজার অনুমতি পেয়ে থাকে।  

Student Visa (ছাত্র ভিসা)

জার্মানি সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য Student Visa (ছাত্র ভিসা) ভিসা সুবিধা দিয়ে থাকে। কেউ যদি দেশটিতে পড়তে যেতে চান, তাহলে তারা সরাসরি জার্মানির Student Visa (ছাত্র ভিসা) এর জন্য আবেদন করতে পারে। Student Visa (ছাত্র ভিসা) এর মাধ্যমে গিয়ে সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো অর্থে উপার্জন করা যায়। ছাত্র ভিসার জন্য আবেদনের ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে Student Visa (ছাত্র ভিসা) পাওয়া যায়। ছাত্র ভিসার মেয়াদ হচ্ছে ০৩ মাস। ০৩ মাস পর ছাত্র ভিসার বৈধতা শেষ হয়ে যাবে। ০৩ মাস পর তার শিক্ষা কার্যক্রমে যদি আরও বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে আলাদাভাবে রেসিডেন্স পারমিটের (বসবাসের অনুমতি) জন্য আবেদন করতে হবে। এর পর সেই নির্ধারিত কোর্সের (শিক্ষা কার্যক্রম) মেয়াদ শেষ হবার পর চাকরি খোঁজার জন্য রেসিডেন্স পারমিটে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময় জার্মানিতে অবস্থান করা যাবে। চাকরি পাওয়ার পর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। Student Visa পেতে হলে জার্মানির যে ইউনিভার্সিটিতে আপনি ভর্তি হয়েছেন তাদের দেয়া ‘অ্যাডমিশন লেটার’ হাতে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পড়াশোনা চালানোর মতো যথেষ্ট আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। 

ট্যুরিস্ট ভিসা

জার্মান ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে৷ জার্মান দূতাবাস থেকে সরাসরি এই ভিসার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। জার্মানি হচ্ছে প্রাকৃতিভাবে দর্শনীয় একটি দেশ। এখানে প্রতিবছর বহুল পরিমাণ ব্যক্তিরা যায় জার্মানির দর্শনীয় বিভিন্ন স্থান দেখতে। যারা জার্মানিতে পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করতে চান তাদের অবশ্যই জার্মানির ট্যুরিস্ট ভিসা (পর্যটক) এর আবেদন করতে হবে। জার্মানির ট্যুরিস্ট ভিসাকে অনেকেই ভিজিট ভিসা বলে থাকেন। 

জার্মানিতে সর্বনিম্ন বেতন কত

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে জার্মানিতে সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা। জার্মানি যেহেতু ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশ সেদেশে কাজের লোকের চাহিদা যেমন বেতন ও তেমন অনেক টাকা হয়ে থাকে। জার্মানিতে সর্বনিম্ন বেতন ২,০০,০০০/- (দুেই) লক্ষ টাকা থেকে কাজ ভেদে ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

জার্মানিতে কাজের ওয়েব সাইট কি

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে জার্মানিতে কাজের ওয়েব সাইট কি? তাদের জন্য জর্মানি ২০২৫ সালে নতুন একটি কাজের ওয়েব সাইট ওপেন করেছে তা হচ্ছে  https://digital.diplo.de/visa

জার্মানি কাজের ভিসা
জার্মানি-কাজের-ভিসা-2025
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *